জমির সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য, জমি পরিমাপের সমস্ত নিয়মগুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জটিলতা এড়াতে জমি জরিপ প্রয়োজন। সঠিকভাবে জমি পরিমাপ করতে জমি পরিমাপের বিভিন্ন একক সম্পর্কে জানুন।
বিভিন্ন উপায়ে জমি পরিমাপের ধরণ।
- ১ গন্ডা = ৬ কাটা
- ১ গন্ডা = ৮৬৪ বর্গফুট
- ১ করা = ২১৬ বর্গফুট
- ১ কানি = ২০ গন্ডা
- ১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
- ২ কানি ১০ গন্ডা = ১ একর
- ১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
- ১ কানি = ১৯৩৬ বর্গ গজ
মিউটেশন বা নামজারী কী?
মিউটেশন বা নামজারী হচ্ছে প্রাক্তন মালিকের নামে রেকর্ড পরিবর্তন করে জমির নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা। সম্পত্তির উপর মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মিউটেশন বা নামজারী অপরিহার্য। যখন কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠান আইনি উপায়ে জমি/জমির মালিকানা অর্জন করে, তার নামে রেকর্ড হালনাগাদ করতে হয়। যখন একজন ব্যক্তির মিউটেশন বা নামজারী সম্পন্ন হয়, তখন তাকে একটি খতিয়ান দেওয়া হয় উক্ত খতিয়ানে তার অধিগ্রহণকৃত জমির সংক্ষিপ্ত হিসাব থাকে। হিসাবের বিবরণী যেমন মালিকের নাম, মৌজার নাম, মৌজা নম্বর (জেএল নম্বর), জমির দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমাণ, একাধিক মালিক থাকলে তাদের নির্ধারিত অংশ এবং প্রতি বছর ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ) ইত্যাদি খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত থাকে। মিউটেশন বা নামজারীর কপি পেশ না করে কেউ সরকারিভাবে এক খণ্ড জমির মালিকানা দাবি করতে পারে না। নতুন মালিকের দায়িত্ব সঠিকভাবে এবং সতর্কতার সাথে নিজের নামে মিউটেশন বা নামজারীর মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করা।
মিউটেশন বা নামজারী প্রয়োজনীয় ফি (সমস্ত ফি দিতে হবে)
➢ রেজিস্ট্রেশন করতে মোট লাগে ১১৭০ টাকা
➢ রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা
➢ আবেদনের জন্য কোর্ট ফি ২০ টাকা
➢ নোটিশ ইস্যু ফি ৫০ টাকা
➢ খতিয়ান ফি ১০০ টাকা
মিউটেশন বা নামজারীর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
১. সর্বশেষ নামজারি ও জমাভাগ/জমা একত্রিকরণের খতয়ান কপি এবং ডিপোজিট শেয়ারিং (জোমা ভাগ) সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
২. সর্বশেষ গেজেটে প্রকাশিত খতিয়ানের কপি।
৩. ওয়ারিশ সনদপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) (০৩ মাসের মধ্যে ইস্যু করা হয়)
৪. মূল দলিলের ফটোকপি / সার্টিফাইড কপি।
৫. সর্বশেষ জরিপ থেকে আবেদনকারীর আবেদনের সময় পর্যন্ত স্থানান্তরের বায়া/পিট দলিল।
৬. হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা।
৭. আদালতের রায়/ আদেশ / ডিক্রি থাকলে আদেশ ও আর্জির সার্টিফাইড কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৮. জমির চৌহোদ্দি সহ কলমি নকশা (আবেদনকারীর নিজস্ব)।
৯. আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
১০. আবেদনের সাথে আবেদনকারীর একটি সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
১১. আবেদনকারীর পক্ষে মনোনীত কোন ব্যক্তির শুনানিতে থাকতে চাইলে ছবি সহ হলফনামার কপি।
১২. শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে (বিডা) দ্বারা নির্ধারিত কাগজপত্র।
- শুনানির গ্রহণকালে দাখিলকৃত নথির মূল কপি অবশ্যই আনতে হবে।
- দখল/প্রয়োজনীয় মালিকানা রেকর্ড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দখন/প্রয়োজনীয় মালিকানার রেকর্ডপত্র দেখাতে হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে নাম খারিজ /নামজারির জন্য আবেদন করুন: https://mutation.land.gov.bd/application-request
➢কিভাবে জমির মালিকানা হতে পারে-
- মালিকানা কবালা/বিক্রয়, উপহার, বিনিময়, উইল, ওয়াকফ, উত্তরাধিকার বা সরকারের মাধ্যমে হস্তান্তর করা যেতে পারে। ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে।
- বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন নম্বর ১৬১২২-এ কল করতে পারেন।
সরকারি ওয়েবসাইট:- land.gov.bd
আরো তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন:
জমির দলিল কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? - https://infosheba.org/bn/articles/16168132863645
সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুনঃ
স্মার্ট ল্যান্ড সার্ভিস কাস্টমার কেয়ার: ১৬১২২
সরকারি তথ্য ও পরিষেবা হেল্পলাইন: ৩৩৩ (জমি সহায়তা পেতে কল করার পর ২ চাপুন)।
কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন -
ইমেইল: Info.Sheba@rescue.org হোয়াটসঅ্যাপ: +৮৮০১৮১০০০৮৫০০
ফেসবুক: facebook.com/Signpost.Infosheba